• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

৬ দশক আগের সিনেমা ‘ওমিক্রন’ এখন বাস্তবে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০৭:০১ পিএম

৬ দশক আগের সিনেমা ‘ওমিক্রন’ এখন বাস্তবে

বিনোদন ডেস্ক

গত এক সপ্তাহ যাবৎ বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে ইতালির চলচ্চিত্র 'ওমিক্রন'। যার নামে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দিন দশেক আগেও যার কথা কেউ জানত না। অথচ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে ১৯৬৩ সালে নির্মিত এক সিনেমার পোস্টার, তারও নাম সেই 'ওমিক্রন'

আর তাতেই সত্যি-মিথ্যা নানা খবরে নিমেষেই ভাইরাল নেটমাধ্যম। শেয়ার হয়েছে ছবির পোস্টার। তাতে লেখা দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তবে এ ঘটনা কতটা সত্য! প্রায় ষাট বছর আগে কি আসলেও এ নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছিল!

বাস্তবের ঘটনা থেকে অসংখ্য ফিল্ম তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু ফিল্মের কাহিনি যদি ভবিষ্যতে মিলে যায় বাস্তবের সঙ্গে! কন্টাজিয়নছবির ক্ষেত্রে তাই ঘটে গিয়েছে। ২০১১ সালে সিনেমা হলের পর্দায় যা দেখা গিয়েছিল, বাস্তবে তা ঘটে চলেছে গত দুবছর ধরে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে যখন প্রথম ধরা পড়েছিল করোনা-সংক্রমণ, তখন শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হলিউডের একটি ফিল্ম। ২০১১ সালের ছবি কন্টাজিয়ন। ম্যাট ডেমন, জুড ল, কেট উইনস্লেট অভিনীত সেই ছবির প্লট ছিল, এক রহস্যজনক ভাইরাস সংক্রমণ। তাতে হংকং থেকে আমেরিকা ফিরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক তরুণী। হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা যায়, এক রহস্যময় ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তরুণী। এই ছবিতে অতিমারিতে শুধু আমেরিকাতেই মৃত্যু হয় ২৫ লক্ষ বাসিন্দার। বিশ্বজুড়ে ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি প্রাণহানি ঘটে। ফিল্মের গল্পেও দেখানো হয়, চীনে বাদুড় থেকে ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটে শুয়োরের শরীরে। তার পরে শুয়োরের মাংস খেয়ে ভাইরাস ছড়ায় মানুষের মধ্যে।

এবার ওমিক্রন’-এর ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে ১৯৬৩ সালের ইতালির এই সিনেমায় কোনো ভাইরাস নেই। এই গল্পে ভিনগ্রহের এক প্রাণী পৃথিবীতে এসে এক ব্যক্তির মৃতদেহ কব্জা করে। মানবদেহে ঢুকে সে পৃথিবীবাসীর আদবকায়দা শিখতে থাকে। ভবিষ্যতে পৃথিবী আক্রমণ করলে তারা যাতে যুদ্ধে জিততে পারে, এ ছিল তারই প্রস্তুতি। পৃথিবীর রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ক্রমে বুঝতে পারে ভিনগ্রহী। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নাম জানাজানি হতে ইউটিউবে ভেসে উঠেছে সাদাকালো যুগের এই ফিল্মটি। সিনেমার একাধিক প্রিন্ট আপলোড হয়েছে নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরে।

এটি ছাড়াও আরও একটি সিনেমার পোস্টার ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই সিনেমার পোস্টারের নাম করে দেয়া হয়েছে দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নামে আদতে কোনো ফিল্ম নেই। সেই পোস্টারটি মূলত ১৯৭৬ সালের একটি স্পেনীয় ফিল্মের। পোস্টারের ছবিটি এক রেখে নাম বদলে দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকরে দেয়া হয়েছে। নেটিজেনরা অবশ্য এই রসিকতাপ্রথমে ধরতে পারেননি। পরে জানাজানি হয় পোস্টারটি ভুয়া। যিনি এটি তৈরি করেছিলেন, সেই বেকি চিটল এই ঘটনা জানতে পেরে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘‘আমার তৈরি পোস্টারগুলো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মজা করে তৈরি করেছিলাম। কেউ সত্যি ভেবে নেবেন না। ৭০-এর দশকের বেশ কিছু সায়েন্স ফিকশন ফিল্মের পোস্টার ফোটোশপ করে এগুলো তৈরি করেছিলাম।’’

জেডআই/ডাকুয়া

আর্কাইভ