প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১০:৫৩ এএম
শাহরুখ খান ও গৌরী খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান মাদক মামলায় এই মুহূর্তে আর্থার
রোড জেলে বন্দি। বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ছেড়ে জেলের কুঠুরিতে দিন কাটাতে হচ্ছে মান্নাতের রাজকুমারকে। বড্ড কষ্টে পার
হচ্ছে তার দিন। বাবার অগাধ সম্পত্তি থাকলেও পছন্দের কাবাব-বিরিয়ানি বা বার্গার
খাওয়ার উপায় নেই। বরং জেলের ক্যান্টিনে তৈরি ভাত-ডাল-তরকারি এখন বরাদ্দ আরিয়ানের
জন্য। কিন্তু সেইসব খাবার মুখে রুচছে না শাহরুখ-পুত্রের। জেলের একটা সূত্র এমনই
তথ্য জানিয়েছে।
গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী ক্রুজের রেভ পার্টি থেকে আটক হন আরিয়ান খান। পরদিন
এনসিবি তাকে গ্রেফতার করে। গত বৃহস্পতিবার দু-দফার এনসিবি হেফাজত পূর্ণ হওয়ার পর
আরিয়ান খানসহ মাদককাণ্ডে গ্রেফতার মোট আটজনের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর
করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। পরদিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে খারিজ হয় আরিয়ানের জামিনের
আবেদন। এখনও পর্যন্ত তিনবার কোর্টে তোলা হয়েছে আরিয়ানকে, তিনবারই আদালতের রায় আরিয়ানের পক্ষে যায়নি।
গত শুক্রবার আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয় আরিয়ানকে। সেখানকার এক নম্বর
ব্যারাকে নিভৃতবাসে রয়েছেন আরিয়ান। কোভিড বিধি মেনে প্রথম পাঁচ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় জেলে আসা নতুন অভিযুক্ত বা বন্দিদের। ঘনিষ্ঠসূত্রে খবর, জেলে ঠিক করে খাওয়া-দাওয়া করছেন না আরিয়ান। জেল কর্মকর্তাদের বারবার অনুরোধ
সত্ত্বেও জেলের খাবার মুখে তুলছেন না আরিয়ান। শুধু জানিয়েছে তার খিদে নেই। জেলের
ক্যান্টিন থেকে কেনা পার্লেজি বিস্কুট খেয়েই রয়েছে আরিয়ান। নিজের সঙ্গে ১২ বোতল পানি নিয়ে জেলে পৌঁছেছিলেন শাহরুখ-পুত্র।
তার মধ্যে আর মাত্র তিন বোতল পানি রয়েছে আরিয়ানের কাছে। চার দিন ধরে জেলে গোসল
করেনি সে!
জেলের নিয়ম অনুযায়ী, অভিযুক্ত বা কয়েদিরা নিজের সঙ্গে ২ হাজার ৫০০
টাকা নিয়ে জেলে ঢুকতে পারবে। ওই টাকা জেলের অ্যাকাউন্টে জমা থাকে আর তার বদলে
কয়দিকে এক মাসের কুপন দেওয়া হয়। ওই কুপনের ব্যবহার করে কয়েদি জেলের ক্যান্টিন থেকে
শুকনো খাবার (কেক, বিস্কুট) কিনতে পারেন। বাইরের খাবার জেলের ভেতরে নিষিদ্ধ।
শামীম/এএমকে