• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পূজামণ্ডপে গিয়ে স্মৃতিকাতর হলেন ফেরদৌস

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০২:৪৯ পিএম

পূজামণ্ডপে গিয়ে স্মৃতিকাতর হলেন ফেরদৌস

বিনোদন ডেস্ক

ঢাকের বাদ্য আর উলুধ্বনি-শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত পূজামণ্ডপগুলো। উৎসব-আনন্দে জমে উঠেছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হলেও পূজা দেখতে যান অন্য ধর্মাবলম্বীরাও। এবার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে গেলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে যান তিনি।

এ সময় বক্তব্য শেষে সেখানকার নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নেচে তাদের উৎসাহ দেন। এ সময় তার সহপাঠী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। পূজা পরিদর্শন করে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ‘এখানে এসেই আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে চলে গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমি আজকে নারায়ণগঞ্জ আসব। আমার বন্ধু ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে ধন্যবাদ। আসলে ও মাঝে-মাঝে এমন সব কাজ করে, আমি বিস্মিত হয়ে যাই।


ফেরদৌস বলেন, ‘আমার ছোটবেলার শহর। অত্যন্ত প্রাণের শহর। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে আজকে আমি ফেরদৌস হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে এই শহর। কারণ শিল্প-সংস্কৃতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ অনেক ধনী।

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভীষণ সংস্কৃতমনা। আমি নিজেও ছোটবেলায় বুঝতাম না হিন্দু, মুসলমানের কী তফাৎ। ঈদে আমার হিন্দু বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে আসত, পূজায় আমরা তাদের বাড়িতে যেতাম। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার- উৎসব সবার।

এদিকে করোনাকালেও অভিনয়ে নিয়মিত ফেরদৌস। বর্তমানে এ অভিনেতার হাতে আটটি সিনেমা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তিনি। সিনেমাগুলো হলো- জিএম ফারুকের ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম, মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস এবং এখলাস আবেদিনের ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। 

অন্যদিকে হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেইসব দিন আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া এবং নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল ও ‘জ্যাম ও নুর আলমের ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা সিনেমার শুটিং করছেন তিনি। 

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ