প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৮:৫২ পিএম
জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে। থাকেন ঢাকায়। ১৭ বছর ধরে ঢাকার
আদালতপাড়ায় চা বিক্রি করছেন। আদালতে আসা লোকজনের কাছে চা বিক্রি করে চলে তার
সংসার। টাকার বিনিময়ে অন্যদের চা খাওয়ান। ষাটোর্ধ্ব এই চা বিক্রেতার বড় আশা
ছিল চিত্রনায়িকা পরীমনিকে এক কাপ চা
খাওয়াবেন। তবে এ জন্য তার কাছ কোনো অর্থ নেবেন না। কিন্তু তার সেই আশা পূরণ হলো
না।
রোববার (১০ অক্টোবর) বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত
শিকদারের আদালতে পরীমনি হাজিরা দেবেন। বিষয়টি জানতে পেরে সকাল থেকেই ওই আদালতের
আশপাশে ফ্লাক্স হাতে ঘোরাফেরা করেছেন জাহাঙ্গীর মিয়া। অনেকের কাছে পরীমনির
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছেন। বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে পরীমনির আসার বিষয়টা
বেশি জানতে চেয়েছেন।
জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, এর আগে যেদিন পরীমনি আদালতে আসেন, তখন আমি তাকে দেখি। আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। শুনেছি আজ (রোববার, ১০ অক্টোবর) আবার আদালতে আসবেন। তার জন্য চার ঘণ্টা ধরে এখানে আছি। তাকে আমি এক
কাপ চা খাওয়াতে চাই। তাকে চা খাওয়াতে পারলে আমার ভালো লাগবে।
এদিন মামলার শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যান পরীমনি। জাহাঙ্গীর মিয়ার
সঙ্গে তার দেখা হয়নি। আর চাও খাওয়াতে পারেননি। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আজ খাওয়াতে পারলাম না। তবে এরপর যেদিন আসবেন, সেদিন তাকে চা
খাওয়াব।
অবশ্য আদালতে পরীমনিকে ঘিরে যেভাবে ভিড় থাকে তাতে করে তার কাছে জাহাঙ্গীর
মিয়ার যাওয়াটা কঠিনই বটে।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী আর দুই ছেলে গ্রামেই থাকেন। দুই ছেলে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজে
অনার্সে পড়াশোনা করছেন। জাহাঙ্গীর মিয়ার একার আয়ে চলে সংসার। আশা করছেন, লেখাপড়া শেষ করে দুই ছেলে ভালো চাকরি করবে। সংসারের হাল ধরবে।
শামীম/ডাকুয়া