• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বলিউড সেলিব্রেটিদের ‘সঙ্কটমোচন’ সতীশ মানশিন্ডে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৩:২২ পিএম

বলিউড সেলিব্রেটিদের ‘সঙ্কটমোচন’ সতীশ মানশিন্ডে

বিনোদন ডেস্ক

বলিউড পাড়ায় পরিচিত মুখ সতীশ মানশিন্ডে। সঞ্জয় দত্ত থেকে সালমান খান; রাখি সাওয়ান্ত থেকে রিয়া চক্রবর্তী। বলিউডের ‘সঙ্কটমোচন’ হিসেবে বারবার আবির্ভূত হয়েছেন ভারতের অন্যতম দামি এবং প্রথম সারির আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। সেই সতীশই বার প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় জড়িত শাহরুখপুত্র আরিয়ানের সহায়। তাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেন বারবারই সতীশ বলিউড তারকাদের পাশে আসেন। কী তার বিশেষত্ব? প্রতি মামলায় কেমন পারিশ্রমিক নেন তিনি।

১৯৮৩ সালে লর্ডসে কপিল দেবের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয় করে ভারত। সে সময় কর্নাটকের ধারওয়াড়ের আদি বাসিন্দা সতীশ মানশিন্ডে মুম্বাই (তৎকালীন বম্বে) আসেন। তখন ফৌজদারি মামলায় দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবী রাম জেঠমালানির জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। টানা ১০ বছর জেঠমালানির নেতৃত্বে কাজ করার পর স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করেন।


১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায় তিনি প্রথমবারের মতো সবার নজরে আসেন। সে সময় বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সতীশ। আইনজীবী মহলে শোনা যায়, শিন্ডের জোরদার সওয়ালের জোরেই বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পান সঞ্জয়। তার পর থেকে তার নাম ছড়াতে শুরু করে।

এরপর বলিউডে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করেন সতীশ। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সালমান খানের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত তাকে জামিনও পাইয়ে দেন। ২০০২ সালে সালমান জড়িয়ে পড়েছিলেন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো সংক্রান্ত মামলায়। সে ক্ষেত্রেও তার সহায় হিসেবে ছিলেন সতীশ এবং সে ক্ষেত্রেও জামিন পান সালমান।


সঞ্জয় দত্ত, সালমান খানের মতো ব্যক্তিদের হয়ে মামলা লড়া সতীশের হাতযশের অবশ্য এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু তখন আরও একটি বিতর্কের জন্ম হয়। তা সতীশের পারিশ্রমিক নিয়ে।

বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সতীশ মানশিন্ডে এজলাসে দাঁড়িয়ে একবার সওয়াল করতে ১০ লাখ টাকা নেন। রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে যখন সতীশ সওয়াল করছেন, তখন প্রশ্ন ওঠে কীভাবে সতীশের মতো দামি আইনজীবীর খরচ সামলাচ্ছেন রিয়া?


 প্রসঙ্গে ঘটে একটি মজার ঘটনা। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে সতীশকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘শোনা যায় আপনার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা। এটা কি সত্যি?’ মৃদু হেসে সতীশ জবাব দিয়েছিলেন, ‘যে প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে আমার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা বলছেন সেটা ১০ বছরের পুরনো। এবার হিসাব করে নিন।’ সূত্র : আনন্দ বাজার।


নূর/এম. জামান

আর্কাইভ