প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৬:৫০ পিএম
স্বামী ফরিদের অভিনয়ের নেশা একদমই ভালো
লাগে না স্ত্রী জুলেখার।
ফরিদ এক সময় যাত্রাপালায়
কাজ করত। এখন তার
মধ্যে অভিনয়ের নেশায় ধরেছে। এজন্য অভিনয় ছাড়তে পারে না সে।
অভিনয়শিল্পী ফরিদ পাগল, অন্ধ,
খোঁড়াসহ নানা চরিত্রে ভিক্ষাবৃত্তি
করে। এই কাজের অর্থ
দিয়েই তার সংসার চলে।
আর এখানেই জুলেখার আপত্তি। সে চায় না
তার স্বামী এসব করুক।
যাত্রাপালায়
অভিনয় করে সংসার চালাতে
হিমশিম খেত ফরিদ। এজন্যই
অভিনয়ের মাধ্যমে ভিক্ষা করে। এতে করে
অভিনয়, আয়—দুটোই হয়। কিন্তু জুলেখার
এসব ভালো লাগে না। সে
চাইলেই অন্য কাউকে বিয়ে
করে সুখী হতে পারত।
এমন
হতাশা আর অপ্রাপ্তিতে ঘেরা
জীবনেই হঠাৎ আসে বড়
খুশির খবর। ফরিদ সুযোগ
পায় দেশের নামকরা এক পরিচালকের সিনেমায়
কাজের সুযোগ। এরপর কী হয়?
সেটা জানা যাবে ‘আমি
একজন অভিনেতা’ নাটকটি দেখলে। কারণ উল্লেখিত গল্পাংশ
সেই নাটকেরই।
গাজীপুরের
বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়। মেহরাব জাহিদের
গল্প-ভাবনায় নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ ফারুক। পরিচালনা করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ।
প্রযোজনা করেছেন মারুফ আহমেদ খান রিজভী।
এতে
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শাহরিন, সালমান শাহরিয়ার, চাষী আলম, সবুজ,
সিব্বিরসহ আরও অনেকে। শিগগিরই
নাটকটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন
নির্মাতা।
এ
নাটকে অভিনয়ের প্রসঙ্গে ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘গল্পটি ভিন্ন ধাঁচের। এখানে আমি ভিক্ষুকের বউয়ের
চরিত্রে অভিনয় করেছি। চেষ্টা করেছি ভালো করতে। বাকিটা দর্শকেরা বিবেচনা করবেন।’
নির্মাতা
কাজী সাইফ আহমেদ বলেন,
‘আমি একটু ভিন্ন ধারার
কাজ করতে পছন্দ করি।
একজন ভিক্ষুকের অভিনয়ের নেশাটা আছে। কিন্তু সে
যখন অভিনয় করার সুযোগ পায়
না, তখন রাস্তায় রাস্তায়
ভিক্ষা করে অভিনয়ের স্টাইলে।
একেক দিন একেক স্টাইলে
ভিক্ষা করে। এভাবে তার
অভিনয়ের ক্ষুধা মেটায়। চেষ্টা করেছি পরিপাটি একটি কাজ করার।
আশা করি দর্শকদের ভালো
লাগবে।’
সবুজ/এএমকে