• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ১২:১২ এএম

পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় পুলিশ চার্জশিটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। 

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট জমা দেন। 

চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬০) ও মামলায় তদন্তে আসা ৩ নম্বর আসামী শাহ শহিদুল আলম (৫০) অভিযোগকারী পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে অশ্লীল আচরণ করে। এর পর তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। এছাড়া মামলার দ্বিতীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩) পরীমনিকে কৌশলে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম। এর পর তাকে অশ্লীল কথা বলে শরীরে স্পর্শ করে। এতে মামলার বাদী পরীমনি ক্ষিপ্ত হলে তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়ার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ প্রতীয়মান হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর ৫দিন পর গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় করা আরও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান নাসির। দীর্ঘ ২ মাস ২৩ দিন পর সোমবার বিকালে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম বলেন জানান, আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন এবং শহিদুলকে চার্জশিটে ‘পলাতক’ দেখানো হয়েছে। শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ পাওয়া গেছে। 
 
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দানের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা আছে, ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করলে তাঁর শাস্তি হবে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। আবার দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কাউকে ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ করেন, তাহলে সেই ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড, কিংবা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

জেডআই/
আর্কাইভ