• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

অনলাইন ক্লাসে সন্তুষ্ট নয় ঢাবির ৪৬% শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১, ০২:০০ এএম

অনলাইন ক্লাসে সন্তুষ্ট নয় ঢাবির ৪৬% শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনার সংক্রমণে সশরীরে ক্লাস বন্ধ প্রায় ১৬ মাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেওয়া হচ্ছে অনলাইন ক্লাস। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও (ঢাবি) অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। 

এক জরিপে উঠে এসেছে, অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ৪৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট নন । অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর কারণ হিসাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নেটওয়ার্কের সমস্যা, ডিভাইসের অপর্যাপ্ততা প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করেছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের করা একটি জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনলাইনে গত ১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত অনলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করে সংগঠনটি। এতে বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তরের ৩ হাজার ৭৩০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠ্যসূচি শেষ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল জরিপে। জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ না উত্তর দিয়েছেন। এর মানে তাঁদের মতে, পাঠ্যসূচি এখনো শেষ হয়নি। অনলাইন নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট এমন শিক্ষার্থীর হার প্রায় ২৪ শতাংশ। অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর কোনো মত প্রকাশ করেনি ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।

অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক নয় ৪৫ শতাংশ। এখনো নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন বাকিরা। 

আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অনেকেই অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরীক্ষা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ওপেন বুক, এমসিকিউ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়ার পক্ষেও মতামত পাওয়া গেছে জরিপে।

জরিপের তথ্য বলছে, বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ডিভাইস বা আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করে সহায়তা পেয়েছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২৬ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও এখনো সহায়তা পাননি। বাকি শিক্ষার্থীরা নিজ থেকেই আবেদন করেননি। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মুঠোফোনের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেন। এ রকম আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে জরিপে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মু. মনজুরুল করিম এ জরিপ মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাটি একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এছাড়া উপায়ও নেই। তাই এর সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে এটিকে আরও ফলপ্রসূ করতে হবে।’

ইফাত

শিক্ষা সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ