নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসঙ্গে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এই সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময়ে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার কারণে যদি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয় তাহলে এসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
দীপু মনি বলেন, এসএসসির পরীক্ষার্থীদের ১৮ জুলাই থেকে এসাইনমেন্ট দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে দুইটি করে ১২ সপ্তাহে ২৪টি এসাইনমেন্ট দেয়া হবে। অন্যদিকে এইচএসসির ক্ষেত্রে ২৬ জুলাই থেকে এসাইনমেন্ট দেয়া হবে । এক্ষেত্রে ৩০টি এসাইনমেন্ট দেয়া হবে। এটিও প্রতি সপ্তাহে ২টি করে দেয়া হবে।
পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না। পরীক্ষা ও নম্বর কম থাকায় ফরম ফিলাপের জন্য কম অর্থ নেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবে বলা হয়, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা। পাশাপাশি ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়া। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এই পরীক্ষা নেয়া।
এমনটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং এসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিসের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং এসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশ।
তরিকুল/সবুজ/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন