• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব পালন করা হবে। শিগগির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি জানি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকেন। আমার পরিবারের একজন সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের আবাসিক হল নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তাদের সকল দাবি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, বাস্তবতা হলো- আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারব না। কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এর জন্য আমাদের বসতে হবে। আমরা তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করব। যেভাবে দেওয়া যায় সেই কাজ করব।

সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে- এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, সচিব ও সংশ্লিষ্টরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা এর জন্য ক্ষমা চাইবেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয় সামনে অবস্থান দেন জবি শিক্ষার্থীরা। এখনো পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সচিবালের সামনে অবস্থান করছেন। এতে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

আর্কাইভ