• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাবে তো শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ১০:২৩ এএম

বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাবে তো শিক্ষার্থীরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও বই ছাপানোতো দূরের কথা এখনো সব টেন্ডারই সম্পন্ন হয়নি। শেষ হয়নি বই পরিমার্জন প্রক্রিয়াও। মুদ্রণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পহেলা জানুয়ারির আগে সব বই ছাপানো সম্ভব নয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, মুদ্রণকারীরা আন্তরিক হলে বছরের শুরুতেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা।

নতুন শিক্ষাবর্ষ সামনে রেখে আগের বছরগুলোতে এই সময়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের ছাপাখানাগুলোতে থাকে ব্যস্ততা। তবে এবারের চিত্র পুরোই উল্টো। শুনশান নীরবতা সব ছাপাখানায়। এখনো বন্ধ পাঠ্যপুস্তক ছাপার মেশিন, নেই মুদ্রণকর্মীদের আনাগোনাও।

মুদ্রণকর্মীরা জানান, অন্যান্য বছর কাজ শুরু হয় আগস্টের মাঝামাঝি। এবার একটু দেরি করেই কাজ শুরু হচ্ছে।

নতুন কারিকুলাম বাতিল করে, ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগের এসব পাঠ্যবইয়ে প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে সংশোধন-পরিমার্জন হবে বিষয়স্তুরও।

সেই কার্যক্রম এখনো শেষ করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি। তার ওপর মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ আবার চালু হওয়ায় বাড়ছে বইয়ের সংখ্যাও। প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যাদেশ দেয়া হলেও ছাপা শুরু হতে বেশ কিছু ধাপ বাকি। আর মাধ্যমিকে বই ছাপানোর প্রথম ধাপ- টেন্ডারই হয়নি।

এ অবস্থায় মুদ্রণ শিল্প সমিতি বলছে, কোনোভাবেই বছরের শুরুতে সব বই ছাপানোর কাজ শেষ করা সম্ভব না।

আর দ্রুতই পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে মুদ্রণ শিল্প সমিতি। তারা মনে করেন, টেন্ডার শর্ত শিথিল করলে বই ছাপানো দ্রুত শেষ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনা না নিলে বছরের প্রথম দিনে সব বই দেয়া অসম্ভব। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা বিগত সরকারের আমলে কাজ করতে পারে নাই। বিভিন্নভাবে মাফিয়াদের দ্বারা বঞ্চিত হয়েছে। ৪৭টা ওয়েব প্রেস ও কয়েকশ শিট মেশিন আছে। শর্ত শিথিল করে এ লোকগুলোকে কাজে লাগানো গেলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব।’

আপাতত প্রেস মালিকদের আন্তরিকতার দিকেই তাকিয়ে এনসিটিবি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘প্রিন্টাররা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে আমাদের ধারণা, শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছে মানসম্পন্ন বই পৌঁছে দিতে পারব।’

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৩৭ কোটি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপাবে সরকার।

আর্কাইভ