• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষাকে পণ্য না বানিয়ে সংস্কারের পরামর্শ, কমিশন গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম

শিক্ষাকে পণ্য না বানিয়ে সংস্কারের পরামর্শ, কমিশন গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রম সংস্কার নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে এখনও কমিশন গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাববক, গবেষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তারা বলেন, সর্বজনীন দর্শনের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো উচিত। অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে কারিকুলাম প্রণয়নের দাবিও তাদের।

উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরি না পেয়ে হতাশ দেশের তরুণ সমাজ। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। স্নাতক ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীর প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যার সংখ্যা ৪৭।

অন্যদিকে পদ খালি থাকলেও নেই দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থী। তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা কি সার্টিফিকেট নির্ভর? বারবারই এমন প্রশ্ন উঠছে।

ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত সর্বশেষ শিক্ষাক্রম থেকে সরে আসলেও শিক্ষা সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এখনো সামনে আনতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পরিপত্র জারি করে ২০২৫ সালের জন্যে নির্ধারণ করা হয়, ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিও খুব একটা বিতর্কের উর্ধ্বে ছিল না।

রাষ্ট্র সংস্কারে এরইমধ্যে আলাদা আলাদা ১০টি কমিশন গঠিত হলেও শিক্ষার মত গুরুত্বপুর্ণ খাত সংস্কার এখনো আলোচনার বাইরে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রম সংস্কার নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আলোচনা হয়। এ খাতে শহর এবং গ্রামের সমতা ফেরানোর পাশাপাশি শিক্ষাকে পণ্য না বানিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শ দেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেছেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। পাশের দেশ শিক্ষার হাব তৈরি করেছে, আমাদের ছেলে মেয়েরা সেখানে পড়তে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ফরেন কারেন্সিও নষ্ট হচ্ছে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজানোর মতো শিক্ষক রয়েছে, কিন্তু সে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন সব মিলিয়ে ১৭ হাজার টাকা, বর্তমান বাজারে এ টাকায় চলা খুবই কঠিন।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফলাফল সর্বস্ব না রেখে দক্ষতাভিত্তিক গড়ে তোলার আহ্বান উঠে আসে আলোচকদের বক্তব্যে। গবেষক মোহাম্মদ শফিউদ্দিন বলেন, শিক্ষার ভিত্তি যদি দুর্বল হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী কাঠামোও দুর্বল হবে। তাই আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জোর দিতে হবে। সেখানে দক্ষ শিক্ষক আনতে হবে। তাদের বেতন থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। শুধু টাকা কামানোর জন্য শিক্ষাকে ব্যবহার করলে এ জাতি একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে।

বারবার পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পবিবর্তনের কারনে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়েন বলে জানান অভিভাবকরা।

আর্কাইভ