প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ১১:০০ এএম
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আজ। যদিও এবার কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বাতিল পরীক্ষাগুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং করে)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এরই মধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এইচএসসির এ ফলাফল আজ প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে এবার ফলাফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রথা ভেঙে ভিন্ন আঙ্গিকে ফলাফল প্রকাশ
বিগত বছরগুলোতে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানেরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিতেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ফল প্রকাশের ঘোষণা দিতেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অথবা সচিবালয় থেকে এইচএসসির ফলাফল বিস্তারিতভাবে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেন। এ প্রক্রিয়া অনেকটাই রীতি হয়ে উঠেছিল।
এবার সেই ধারায় পরিবর্তন আসছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ফলাফল প্রকাশে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানেরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল ঘোষণা করবেন।
ফল কীভাবে পাবে শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও তা জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2024 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
এবার ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।
পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।