• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সাকিব ও রেজাউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ১০:০১ এএম

সাকিব ও রেজাউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ ও আইন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিমকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

মঙ্গলবার লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বরাবর ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। সাকিব ও রেজাউলের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলেছেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা।

এমন অভিযোগে রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন উপাচার্য। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছেও তিনি পৃথক অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্ত দুজনের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রারকে দেওয়া ইউজিসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের কাছ থেকে কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রাপ্ত চিঠিতে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমদ ও আইন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম কর্তৃক উপাচার্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মাওলাকে শারিরীক লাঞ্ছনা ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অবমাননাকর, অনভ্রিপেত ও অগ্রহণযোগ্য। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কমিশনের ১২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের ১৫৪১ এবং ১৫৪২ নম্বর স্মারকের পত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইউজিসির চিঠিতে আরও বলা হয়, লিডিং ইউনিভার্সিটির একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়সহ সার্বিক অন্যান্য বিষয়াদি তদন্তপ‚র্বক মতামত/প্রদানের নিমিত্তে কমিশন কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যপরিধিতে উক্ত বিষয়টি অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমদ এবং আইন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিমকে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

সেইসঙ্গে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩৫ (৭) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রদান করার জন্য রেজস্ট্রোরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এরআগে ইউজিসিতে দেওয়া অভিযোগে উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা উল্লেখ করেন, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ ও আইন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম প্রবেশ করে উপাচার্যকে গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

নিজের অভিযোগে উপাচার্য উল্লেখ করেন, প্রভাষক রেজাউল করিম উপাচার্যের টেবিলে রাখা সিরামিকের মগ সজোরে তার দিকে ছুড়ে মারলে সেটা হাতে এসে আঘাত করে। এ সময় তারা উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা না নিলে ‍‍`ক্যাম্পাস থেকে লাশ বের হবে‍‍` বলে হুমকি দেন।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিজ বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ বলেন, হুমকি বা লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। উপাচার্য একজন সম্মানী লোক, তাকে কেন আমরা অপদস্থ করব।

তিনি বলেন, স্থাপত্য বিভাগের একটি সমস্যা নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি তখন আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি আমাদের সবার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও।

শিক্ষা সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ