প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম
দ্রুত লিফট স্থাপন, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছেন।
শনিবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু করা বিক্ষোভ আজও চলমান রয়েছে। যবিপ্রবি ছাত্রলীগও এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে।
যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সেমিস্টার ফি কমানো, নবনির্মিত ভবনের লিফট লাগানো, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতি মামলায় চূড়ান্ত অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতিসহ ১২ দফা দাবিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় যবিপ্রবি ছাত্রলীগও আন্দোলনে যুক্ত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে রোববার (১৮ জুন) সকালে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
সূত্র জানায়, ১২ দফা দাবি নিয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালসহ নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, ‘লিফট স্থাপনসহ ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ছাত্রলীগ একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। ১২ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ দাবি আদায়ে প্রয়োজনে তারা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এ ব্যাপারে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি এর মধ্যে আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, সেগুলো আমি দেখব। কিছু দাবি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন। সেই দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর লিফট স্থাপনের বিষয়টি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। লিফট বুঝে নেয়া কমিটি সেটি বুঝে নেয়ার পর স্থাপনের নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। তার আগে কিছু করার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দাবি-দাওয়া আন্দোলন থাকবে। কিন্তু উপাচার্যের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, অবরুদ্ধ করা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত।’
এডিএস/