• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ববির প্রশ্নে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ ঘিরে আলোচনা

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০২:৪৪ এএম

ববির প্রশ্নে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ ঘিরে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ বা ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্নকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেছেন, প্রসঙ্গ না বুঝেই অনেকে যার যার জায়গা থেকে প্রশ্নটি নিয়ে সমালোচনা করছেন। যারা হেজিমনি পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‌‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, হেজিমনি বুঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় তুলে আনে। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে বাংলা ভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক সেটিও বিবেচনার বিষয়।


আবু বকর সিদ্দিক নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘উইকিপিডিয়া পড়া শিক্ষক আর তাতে অভ্যস্তরা সৃজনশীলতা বুঝবে না। এরা কূপমণ্ডূকতার চর্চা করেই যাবে। সবকিছু নিয়ে ট্রল করবে। বেকার আগডুম-বাগডুম লোক এরা।’ আরেব শিক্ষার্থী লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যদি নৈতিকতা শিক্ষায় অবদান না রেখে অশ্লীলতা ছড়ান, এমন অপ্রীতিকর ভাবধারার প্রশ্ন করেন, সেটা জাতিকে পথভ্রষ্ট করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।’

নির্দিষ্ট ওই কোর্সের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, ‘এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোড আনকোড। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেয়া আছে। যারা হেজিমনি পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন। ব্রিটিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে হেজিমনিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ এবং এখনো প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও হেজিমনির বহির্প্রকাশ।’

বিষয়টি নিয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের বিভাগীয় প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। তার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। তারপরও এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেও বিব্রত।’


এডিএস/

আর্কাইভ