প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:৪৮ এএম
একজনকে শিক্ষক চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার পর এমপিওভুক্তির আবেদন করতে গিয়ে দেখেন তার আগের অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জালিয়াতি করে পেছনের তারিখ দিয়ে অন্য আরেকজনকে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এসব জালিয়াতি বন্ধ করতে এবার অভিনব কৌশল নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
এজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের তথ্যের সঙ্গে ব্যানবেইস সংরক্ষিত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাই করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে এমপিওর আবেদনের তথ্য ব্যানবেইসের তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে।
এ নির্দেশনা দিয়ে গত ৬ এপ্রিল পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রোববার (৯ এপ্রিল) পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্তর এমপিও কোড পাওয়ার পর ব্যক্তি এমপিওর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির সময় আগে নিয়োগ করা শিক্ষক-কর্মচারীকে বাদ দিয়ে পূর্ববর্তী তারিখ ও স্মারক ব্যবহার করে অন্য কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
এডিএস/