• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ইডেন অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রীকে আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০১:১৭ এএম

ইডেন অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রীকে আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রী নির্যাতন ও অন্যান্য বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক টর্চার, হেনস্তা করার ও জোর করে অঙ্গীকারনামা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন কলেজের মার্কেটিং বিভাগের নুসরাত জাহান কেয়া। কেয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি।

তবে অধ্যক্ষ বলছে, ‘ও আমাদের শিক্ষার্থী। তাকে কেন নির্যাতন করা হবে? হয়রানি, নির্যাতনের প্রশ্নই ওঠে না।’

৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানির অভিযোগ ও জোরপূর্বক জবানবন্দি নেয়ার বিষয়ে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করেছে কেয়া।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি ১২টার সময়ে ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য এবং অফিশিয়াল কিছু কাজে গেলে শিক্ষকেরা আমাকে অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে জোরপূর্বক একটি অঙ্গীকারনামা নেয়।’

কোন বিষয়ে অঙ্গীকার নামা নেয়া হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে কেয়া বলেন, ‘ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সিট বাণিজ্যের বিষয়ে আমি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দিয়েছিলাম তাই আমাকে জোরপূর্বক অঙ্গীকারনামা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষকদের হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।’

কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গতকাল আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে আলাপ হলে আমরা কেয়াকে নিয়ে আসি। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো ডকুমেন্টস আছে কিনা জানতে চেয়েছি। তার কাছ থেকে একটা লিখিত নেয়া হয়েছে।’

অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘তাকে নির্যাতন ও আটকের কোন প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের শিক্ষার্থী, আমরা কেন নির্যাতন করব? তার বক্তব্যের স্বপক্ষে ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে। সে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের যুক্তি খণ্ডন সে করতে পারেনি। শুধু বলেছে ২০১৭ সালে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা। কিন্তু কার কাছে দিয়েছে তারও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য আমাদের দিতে পারেনি।’

ইডেন অধ্যক্ষ আরও বলেন, গতকালের সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও দেখার পর খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আমাদের দুজন শিক্ষককে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তারা তাঁর খোঁজ খবর নেয়ার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছে। রিসেপশনে তাঁর নাম আছে কিনা দেখেছে। তারা খোঁজ পায়নি।

জেডআই/

শিক্ষা সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ