• ঢাকা বুধবার
    ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাবি’র সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষকে ‘মৃত’ বানিয়ে শোক বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ১২:১৪ এএম

ঢাবি’র সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষকে ‘মৃত’ বানিয়ে শোক বিজ্ঞপ্তি

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের সম্মানিত প্রভোস্ট জনাব মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহ...)। এভাবেই একজন জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ বানিয়ে হলের দেয়ালে ‘শোক বিজ্ঞপ্তি’ সাঁটানো হয়েছে। এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।
   
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রাধ্যক্ষ উদ্যোগী নন-এমন অভিযোগ তুলে হলের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে তার নামে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিও সাঁটানো হয়েছিল। মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে হলের দেয়ালে এই বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়। তাতে প্রাধ্যক্ষের ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের সম্মানিত প্রভোস্ট জনাব মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহ...)।

‘তার অকাল প্রয়াণে মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল পরিবার অত্যন্ত শোকাহত। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শোকান্তেঃ মাস্টারদা সূর্যসেন হল পরিবার।’

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি এটাকে কী বলব। যদি কারো নামে এভাবে ছড়ানো হয়, তাহলে তার কেমন লাগবে। এটা কে লাগিয়েছে আমি জানার চেষ্টা করছি।’

এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর সূর্য সেন হলের শৌচাগার ও ক্যানটিনের দেয়াল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যাডো, মধুর ক্যানটিন ও টিএসসি এলাকায় প্রাধ্যক্ষের নামে ‘নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি’ সাঁটানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছবি দিয়ে লেখা হয় ‘মিসিং’ (নিখোঁজ)। এর নিচেই লেখা হয় ‘প্রভোস্ট মাস্টারদা সূর্যসেন হল’।

নাম না প্রকাশের শর্তে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, হলে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সিট সঙ্কট রয়েছে। ওয়াইফাই খুব ধীরগতির। ক্যানটিনের খাবার খুবই নিম্নমানের। হলের পানির ফিল্টারগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হলের শৌচাগারগুলো খুবই অপরিচ্ছন্ন। হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার এসব সমস্যার কথা জানানো হলেও তা সমাধানে প্রাধ্যক্ষের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।

জেডআই/

আর্কাইভ