• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবির ১৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০২:২৫ এএম

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবির ১৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন

বেরোবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বেগম  রোকেয়ার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

এ সময় কেক কাটা হয় ও বেলুন ওড়ানো হয়। এরপর সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, ‘সেশনজট প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অভিশাপ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের সেশনজট ছিল। গত এক বছরে সেশনজট প্রায় শূন্য হতে চলেছে। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সাফল্য। আগামীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের ডিগ্রি চার বছরেই সম্পন্ন হবে। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষের সংকটসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান হতে চলেছে। তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে উন্নয়ন ও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ফটকের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নতুন আরও একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা হল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বেশ কিছু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমস্যাই আমার সৃষ্ট নয়। কিন্তু আমি সমাধানের জন্য দিন রাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাদের সবার। সুতরাং নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনসহ উন্নয়ন কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।’

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ