প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ১২:৪৪ এএম
একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
শনিবার (১ অক্টোবর) এক শোক বার্তায় উপাচার্য মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক বার্তায় প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, ‘বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান ছিলেন দেশের সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম পথিকৃৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।’
বর্ষীয়ান এ সাংবাদিকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, ‘তোয়াব খান তার কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।’
তোয়াব খান বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তোয়াব খান সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার রয়েছে সাংবাদিকতায় সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন। ২০১৬ সালে একুশে পদক জয় করেন তোয়াব খান। তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয় ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর তিনি নতুন আঙ্গিকে ও নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
জেইউ