প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ফটক বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাইরে থেকে কেউ কোনো কাজের জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। শাটল ট্রেন বন্ধ থাকায় শহরের শিক্ষার্থীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অবরোধের কারণে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাস চলাচল করতে পারছে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য না করতে অনুরোধ করেছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেই আসছিলাম আমরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের দায় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।’
দাবিগুলো হচ্ছে পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। এদিকে, দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে, ক্যাম্পাসে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই প্রায় ৬ বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা।
জেডআই/