• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১১ বছরেও নেই জার্নাল, গবেষণা খাত অনুন্নত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ০৭:২৮ এএম

১১ বছরেও নেই জার্নাল, গবেষণা খাত অনুন্নত

রিফাত ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পার হলেও গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) গবেষণায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো জার্নাল নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষনা সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ পাচ্ছে না।

দেশের গবেষণা সিগনেটের মতে, এটি সমস্যা নিরসনে, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে, দেশের জিডিপি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। গবেষণা মানুষের সহনশীলতা, নমনীয়তা, প্রতিশ্রুতি, কর্মক্ষমতা, মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ এবং আনন্দের প্রতিনিধিত্ব করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম নিয়ে যখন বিশ্ব তোলপাড় চালাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্বারা প্রচারিত র‍্যাঙ্কিং পদ্ধতি স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এতে দেখা যায় দেশের শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মান মাইক্রোস্কোপের নিচে।

বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় বশেমুরবিপ্রবিও গবেষণায় পিছিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নেই কোনো জার্নাল। নেই শিক্ষার্থীদের রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদানের রীতি। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষকদের শরণাপন্ন হলেও ধীরগতিতে চলে গবেষণার কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থা না থাকায় যথেষ্ট ফান্ডিং এবং ল্যাবরেটরির অভাবে গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছে উদ্যমী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার আহ্বান করে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রদান করে গবেষণায় যাবতীয় সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের গবেষক হয়ে উঠতে অবদান রাখার জন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা ক্লাবের সভাপতি আকিব আদনান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আগ্রহী। কিন্তু তারা যথেষ্ট সহযোগিতার অভাবে গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল থাকলে নিজেদের গবেষণাপত্র প্রকাশে এগিয়ে থাকতাম আমরা। জার্নাল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে গবেষণায় সুযোগ করে দেয়া উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. কিউ. এম. মাহবুবের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি গত দেড় বছর যাবত ডিনদের জার্নাল তৈরির ব্যবস্থা নিতে বলে আসছি। কিন্তু তাদের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু দুইটি অনুষদ জার্নালের নাম প্রস্তাব করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদেশী জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে কিন্তু নিজেদের ক্যাম্পাসের জার্নালে প্রকাশের সুযোগ নেই তাদের। এটা দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে জার্নাল প্রকাশ করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ হবে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা , কর্মচারী সবার লেখা থাকবে।’

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র জার্নাল ‘সমাজ ও প্রগতি’ বঙ্গবন্ধু এবং লিবারেশন ওয়ার ইনিস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত হয়। তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করা নেই। 

 

জেইউ

আর্কাইভ