প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। তবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করেও অংশগ্রহণ করছেন না ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার ৬ জেলায় এসএসসির জন্য রেজিষ্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন। রেজিষ্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধানরা বলছেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিয়ে। আর ছেলেরা ঝুঁকছে উপার্জনে। আর প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঝরে পড়ার হার বেশি। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ না করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে এমন নয়। এর মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীও রয়েছে। তবে বেশির ভাগই পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে এমন।
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণী পাশের সনদ দিয়ে কোন না কোন চাকরি খুঁজছে। যে কারণে অনেকে রেজিষ্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না।
গত সোমবার পর্যন্ত কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এসএসসির জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থী। রেজিষ্ট্রেশন করা ৮৯ হাজার ৫৮১ জন ছাত্রের মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৬ জন। ঝরে পড়েছে ১১ হাজার ১৮৫ জন।
অপরদিকে রেজিষ্ট্রেশন করা ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬০ জন। পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি। ঝরে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে গত বছরের চেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ৩০ হাজার। যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২১ সালের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পাশের হার প্রায় শতভাগ থাকায় অকৃতকার্যের সংখ্যা নেই, যে কারণে এবছর অনিয়মিত হিসেবে পরীক্ষার্থী নেই।
জেডআই/