প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৯:১৩ এএম
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সেবা বন্ধ
করেছে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সোমবার (২৪ জানুয়ারি)
মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র।
লিখিত বক্তব্যে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘১৯ জানুয়ারি থেকে আমাদের ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। ২২ তারিখ রাতে আরও চারজন এই অনশনে যোগ দেন। অনশনের শুরু থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের স্বেচ্ছাসেবক দল আমাদের অনশনরত শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করে আসছিলেন। কিন্তু আজ ২৪ জানুয়ারি থেকে ওনারা আর আমাদের মেডিকেল সেবা দিতে সক্ষম হবেন না বলে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে আজ থেকে আমাদের অনশনকারীরা আর কোনো মেডিকেল সেবা পাচ্ছেন না। যার ফলে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই আরও অবনতি হচ্ছে। এবং তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা ১২৫ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন। তারা খিঁচুনি, লো সুগার লেবেল, লো ব্লাড প্রেসার, লো অক্সিজেন লেবেলসহ আরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাদের শারীরিক অবস্থা আগে থেকেই দুর্বল তারা নিশ্চিত মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন। এই শিক্ষার্থীদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমরা মেডিকেল সেবা পাচ্ছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তবে স্বেচ্ছায় সেবা প্রদানের জন্য একজন চিকিৎসক এখানে এসেছেন।’
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি থেকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশন করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা, বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমন অবস্থায় অনশনরতদের পাশে দাঁড়ান ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি দল।
গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি দল শাবিপ্রবিতে অনশনকারীদের চিকিৎসা সেবা দিতে শাবিপ্রবিতে আসেন। তারা অনশনরতদের স্বাস্থ্যসেবা, চেকআপসহ বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
জেডআই/ডা