প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৬:৫৯ এএম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন
শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে অনশনে
বসেছেন তারা। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত
রাত সোয়া ১২টার দিকে
আন্দোলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন এক
শিক্ষার্থী।
তিনি
জানান, শাবিপ্রবি‘র উপাচার্য অধ্যাপক
ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত
অনশন চলবে। অনশনের ১০৫ ঘণ্টা পর
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
১৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের
মধ্যে কয়েকজন কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। ১২ জনের অবস্থা
আশঙ্কাজনক। তারা ভিসির বাসভবনে
অবস্থান করছেন।
তিনি
আরও জানান, অসুস্থ ২৮ জন শিক্ষার্থীর
কেউ অনশন ভাঙতে রাজি
হননি। তারা জানিয়েছেন, ভিসির
পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত
অনশন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে,
রোববার রাতে একটি বেসরকারি
টেলিভিশনে শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পর
শাবিপ্রবি’র ক্যাম্পাসের চিত্র পাল্টে যায়। রাত সাড়ে
১২টার দিকেও বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ বিবৃতি দিয়েছে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
এতে
শাবি’র উপাচার্যের বাসভবনের
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট সংযোগ
বিচ্ছিন্নকারীদের কর্মকাণ্ডকে শাবি শিক্ষক সমিতি
তীব্র নিন্দা জানায়। সমিতি এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে
একেবারেই সমর্থন করে না বলেও
উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও আন্দোলনকারীরা
সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করবে বলে আশা
করে শিক্ষক সমিতি।
রোববার
রাত ১০টায় মিছিল করতে করতে উপাচার্যের
কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগ
দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শনিবার
(২২ জানুয়ারি) বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী মরদেহ নিয়ে কাফন মিছিল
করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে
আবার একই স্থানে এসে
শেষ হয়। এ সময় তারা
সেখানে কিছু সময় অবস্থান
করেন। এরপর রাত ৯টার
দিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন শিক্ষার্থীরা।
নূর/এম. জামান