প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ০৬:২৪ পিএম
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গেট থেকে শুরু করে
২য় একাডেমিক ভবন পর্যন্ত ব্যবসায়
প্রশাসন বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা
সারিবদ্ধভাবে ৮টি কৃষ্ণচূড়া
গাছ রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে
গাছগুলো অনেক বড় আকার
ধারণ করেছে। লোকমুখে প্রচলিত হয়েছে রাস্তাটির নাম কৃষ্ণচূড়া লেন।
ইতোমধ্যেই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশের দেয়ালে মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙ দিয়ে লিখে দিয়েছেন ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সন্ঞ্চিত অর্থ দিয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সারিবদ্ধভাবে ২০১৯ সালে রোপণ করেছিলেন। কারণ রাস্তাটিতে প্রখর রোদ্রে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দীর্ঘদিন কষ্ট হচ্ছিল। সেই কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারী সবাই আনন্দবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।
গাছগুলো
মাঝারি আকারের, মাথার দিকটা এলোমেলো আর ডালগুলো নিচের
দিকে নুয়ে থাকে। পাতাগুলো খুবই সুন্দর, বড়
একটা ডাটার ডালে চিকন চিকন
সব পাতা। শীতকালে গাছের সবগুলো পাতা ঝরে যায়।
তখন ন্যাড়া গাছে ঝুলতে থাকে
কালচে রঙের চ্যাপ্টা ফলগুলো।
কিন্তু গরমের শুরুতে একপশলা বৃষ্টি হলেই মরা ডালে
নতুন পাতার আগেই ফুলের কুঁড়িগুলো
উঁকি দিতে শুরু করে।
তখন গাঢ় লাল, লাল,
কমলা, হলুদ এবং হালকা
হলুদ রঙের ফুলে ফুলে
ভরে ওঠে গাছ। দূর
থেকে গোটা গাছটাকেই একটি
বিশাল ফুলের তোড়া মনে হয়।
মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেনে এখন অবিরাম সৌন্দর্য। সামনের গ্রীষ্মকালে হয়তো কৃষ্ণচূড়া লেনের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোতে ফুটবে লাল টুকটুকে উজ্জ্বল রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল। অনেক দূর থেকেই সকলের চোখে পড়বে লাল ফুলের আভা। এমনটাই প্রত্যাশা মাভাবিপ্রবি পরিবারের।
এই
সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী
মাসুদ রানা বলেন, ‘মাভাবিপ্রবি,
কিছু মানুষের কাছে কেবলই একটি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর কিছু মানুষের
কাছে এটি এক টুকরো
ভালোবাসা। সদ্য কৈশোর পার
করা এই প্রাণের ক্যাম্পাসকে
নতুনরূপে সাজিয়ে তোলার প্রত্যাশায় বিবিএ ৮ম ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা
কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেন।’
তিনি
আরও বলেন, ‘গাছগুলো যখন ধীরে ধীরে
বড় হতে থাকে, তখন
এই প্রাঙ্গণটিকে ভিন্ন নামে, ভিন্ন সাজে প্রতিষ্ঠিত করার
ইচ্ছেটা আরও সুস্পষ্ট হতে
থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সেই
কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়ায় আজ শুভ উদ্বোধন
হলো কৃষ্ণচূড়া লেনের। এর মাধ্যমে এই
প্রাঙ্গণটি কৃষ্ণচূড়া লেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের
নতুন একটি অঙ্গে পরিণত
হলো। যেখানে আড্ডা হবে, গান হবে।
তৈরি হবে কতশত নতুন
স্মৃতি আর সব কিছুতে মিশে
থাকবে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উন্মাদনা।
নূর/ডাকুয়া