প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৫:১৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)
কলাভবনে কৃষ্ণচূড়া দেখে বিমোহিত হননি
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু মানুষের
গায়ের ওপর ডালপালা ভেঙে
পড়বে, এমন উদ্ভট অজুহাতে
৭০ বছরের পুরনো গাছটি কেটে ফেলেছে ঢাবি
কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে সেই স্থানে আরেকটি
কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার
(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের পূর্ব পাশে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি
অনুযায়ী এই গাছ লাগান
তারা। গাছ লাগানো শেষে
তারা সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের
একটি গুঁড়ি সাদা কাপড়ে লাশের
আদলে মুড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মিছিলটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এবং মল চত্বর
হয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে
শেষ হয়।
কর্মসূচিতে
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘যখন
প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো
হয়েছিল, তখন ঠিক ২০০
কদম দূর থেকে এ
গাছটি পতাকা ওড়ানো প্রত্যক্ষ করেছিল। কিন্তু এটি আজ কেটে
ফেলা হচ্ছে ঝুঁকির কথা বলে। আমরা
বুঝতে পারছি না ঝুঁকিটা আসলে
কী।’
তিনি
আরও বলেন,‘ক্যাম্পাসের অন্য জায়গাগুলোতেও আরও
গাছ কাটা হয়েছে। এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন করোনায় আক্রান্ত
হয়ে যখন অক্সিজেনের অভাব
বোধ করছে, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়
খোলার আগমুহূর্তে এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে।
এই গাছগুলো কাটা মানেই ইতিহাসকে
কেটে ফেলা। আমরা এই ইতিহাসকে
বহন করতে চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের
আইন বিভাগের কাজী রাকিব হোসেন
বলেন, ‘এ গাছটি দীর্ঘদিন
ধরে ছিল। সেখানে তার
নিজস্ব একটা বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি
হয়েছিল। সেই বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস
করা হলো। এর বদলে
যদি আরও ১০০টি গাছও
লাগানো হয়, তারপরও এই
ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব
না। তবুও
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই
যে, এই গাছের পরিবর্তে
আরও ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।’
সমাবেশে
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠ দিয়ে নানা
ধরনের ভাস্কর্য বানান।
তারা
চান, ক্যাম্পাসে কেটে ফেলা গাছগুলো
বিক্রি না করে চারুকলা
অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের যেন দেওয়া হয়।
সমাবেশ
শেষে গাছের গুঁড়িটি উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকে রেখে আসেন
শিক্ষার্থীরা।
জেডআই/এম. জামান