প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১১:৫৩ এএম
প্রায় দেড় বছর পর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর)।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর বিদ্যালয়গুলোতে
শুরু হয়েছে পাঠদান। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ
তৈরি হয়েছে বিদ্যালয়গুলোতে। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে এই
উৎসবে মেতে উঠতে।
করোনাকালে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকলেও ছিল না শিক্ষার্থীদের
পদচারণা। অ্যাসেম্বেলিতে ছিল না কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের মিষ্টি কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের সুর। চক-ডাস্টার-ঘণ্টার পাশাপাশি ধুলোর আস্তরণ পড়েছিল শ্রেণিকক্ষে। সব কিছু মাড়িয়ে
আজ দীর্ঘদিন পর বেজেছে বিদ্যালয়ের
ঘণ্টা।
সরকারি
ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে
সারাদেশে খুলছে বিদ্যালয়গুলো। এ দিন সকাল
থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরবতা দেখা গেছে। স্কুল-কলেজ খোলায় আনন্দে
মেতেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
স্বাস্থ্যবিধি
মেনে সকাল থেকেই বিদ্যালয়গুলোতে
প্রবেশ করেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এ সময় বাঁধ-ভাঙ
উল্লাস বিরাজ করে তাদের মনে।
যেন বন্দিজীবন ছেড়ে মুক্ত আকাশে
উড়ছে তারা।
রাজধানীর
বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়,
এ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে
পাঠদানের প্রস্তুতি নিয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পূর্বে স্যানিটাইজ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়গুলো রেখেছে সে ব্যবস্থা।
এ
বিষয়ে কথা হয় আজিমপুর
গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে। তিনি বলেন, আমরা
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খুলছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করে
নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আর
ক্লাসে ফিরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরাও।
আজিমপুর গার্লস স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে
তারা জানায়, অনলাইনের বিরক্তিকর ক্লাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন
তারা। স্কুলে ক্লাস করতে পেরে যেনও
স্বস্তির নিঃশ্বাস পাচ্ছেন তারা। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করতে
পেরে তাদের পড়াশোনার বিষয়ে মানসিক চাপ কমবে। এতে
পড়াশোনার উন্নতি হবে তাদের।
সন্তানদের
স্কুলে পাঠাতে পেরে আনন্দিত অভিভাবকরাও।
তাদের সাথে কথা বলে
জানা যায়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ
নিয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিলেন
তারা। আজ সে চিন্তার
অবসান হয়েছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস
নিতে পারছেন তারা।
করোনাভাইরাসের
কারণে গত বছর মার্চ
থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দেড় বছর পর খুলেছে
বিদ্যালয়গুলো।
ইফাত/ডাকুয়া