প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ১১:১৪ এএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দফায় দফায় দেশের
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে সরকার।
প্রায় দেড় বছর বন্ধের
পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে
সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীরে পাঠদান
শুরু হচ্ছে। তবে করোনার সংক্রমণ
এখনও শেষ না হওয়ায়
স্বাস্থ্যবিধি পালনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
গত
৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শিক্ষা
অধিদফতর থেকে সব স্কুল-কলেজগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে ১৯ দফা
নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি
করা হয়েছে। পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে অবশ্যই এসব
নির্দেশনা মানতে হবে।
এর
আলোকে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে
এসব প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে
দেখা যায়, পাঠদান শুরু করতে প্রত্যেক
শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। রয়েছে
আইসোলেশন কামরা ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও
একই চিত্র দেখা গেছে। সরকার
নির্দেশিত ১৯ দফা নির্দেশনা
বাস্তবায়ন করতে তৎপর সব
প্রতিষ্ঠান।
নির্দেশনাগুলোর
মধ্যে রয়েছে—
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়গুলো ব্যানার বা অন্য কোনো
উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে;
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
প্রবেশপথে সব শিক্ষক-কর্মচারী
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা
পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে
হবে;
* শিক্ষার্থীদের
ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো
প্রবেশমুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা।
যদি কেবল একটি প্রবেশমুখ
থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশমুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে
হবে;
* প্রতিষ্ঠান
খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন
পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান
খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কীভাবে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান
করবে এবং বাসা থেকে
যাওয়া-আসা করবে সে
বিষয়ে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং
দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ
ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের
দেওয়া ভিডিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার
ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত
রাখতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙিনা
যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করতে
হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত
পানির ব্যবস্থা করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবক প্রবেশের
সময় সরকার দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের ব্যবস্থা করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের
সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঠিকভাবে
মাস্ক (সম্ভব হলে কাপড়ের মাস্ক)
পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত
করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
বিভিন্ন স্থানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে
হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা
ক্লাসে ঢোকার আগে সবাই সাবান
দিয়ে হাত ধুতে পারে;
* শ্রেণিকক্ষে
শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি
যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে
পারস্পরিক তিন ফুট শারীরিক
দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে;
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
খেলার মাঠ, ড্রেন ও
বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও
পানি জমে না থাকে
তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে
হবে;
* প্রতিষ্ঠানসমূহে
শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
সব শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে
হবে;
* স্বাস্থ্যবিধি
যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ
ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের
সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন
কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত মেরামত, বৈদ্যুতিক মেরামত এবং পানি সংযোগজনিত
মেরামত সম্পন্ন করতে হবে;
* প্রতিষ্ঠানের
ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে
সভা করে এসব বিষয়ে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নূর/এএমকে