দেশজুড়ে ডেস্ক
কঠোর বিধিনিষেধে টানা ১৯ দিন বন্ধ ছিল গণপরিবহন। অবশেষে বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেড়েছে গাড়ির চাপ। ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে সাত শতাধিক গাড়ি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও গাড়িচালকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়াঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
এসব যানবাহন ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে। যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী এবং গাড়িবাহী ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় দৌলতিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ বেড়েছে। ট্রাকচালক জহির বলেন, লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে। রাতে ঘাটে আসলেও এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি।
যাত্রী সোহাগ রায়হান বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বাড়ায় ভোগান্তিও বেড়েছে। রাতে এসেছি, আমাদের বাস কখন ফেরিতে উঠবে বলতে পারি না।,
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন, এ রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে আগের ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে না।
টিআর/সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন