প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১, ০৯:১২ পিএম
করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে প্রায়
সময়ই চলে কঠোর বিধিনিষেধ।
যার কারণে কর্মহীন হয়ে যান অনেকেই।
এতে করে যারা দিন
আনে দিন খায়; তারা
পড়েন বিপাকে। সমাজের এমন অসহায় মানুষের
কথা চিন্তা করে বিনামূল্যে একবেলা
খাবারের ব্যবস্থা করা হয় নরসিংদীতে।
নাম দেয়া হয় ‘মেহমানখানা’।
সরেজমিন
দেখা যায়, মঙ্গলবার (১০
আগস্ট) প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক
অনাহারী মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়েছে। পেটপুরে
মুরগি-ভুনা খিচুড়ি খেয়ে
আনন্দিত তারা।
জানা
গেছে, মেহমানখানার প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল পারভেজ
মন্টি। গত ৩ আগস্ট
এর যাত্রা শুরু হয়। আর
এই মহতি কাজের উদ্বোধন
করেন সদর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মো. মেহদী মোর্শেদ।
প্রথম দিনেই তিন শতাধিক অনাহারীকে
পেটপুরে খাওয়ানো হয়।
মো.
মাজহারুল পারভেজ মন্টি জানান, এ প্রেম কোনো
স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়। এ
প্রেম হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক। যেখানে নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া, নেই কোনো স্বার্থ;
আছে শুধুই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা নিয়েই
বেঁচে থাকতে চাই।
তিনি
আরও জানান, বেলা ১টা বাজার
সঙ্গে সঙ্গে মেহমানখানায় আপ্যায়ন শুরু হয়ে যায়।
চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। চেয়ার-টেবিলে বসে আয়েশ করে
খানাপিনা শেষ করে হাসিমুখে
ফিরে যান সুবিধাবঞ্চিত এসব
মানুষ।
প্রতিদিন
খাবার খেতে আসা হেলেনা
বেগম সিটি নিউজ ঢাকাকে
বলেন, ‘এখানের খাউন-দাউন (খাবার)
খুবই সুন্দর। মেঘবিষ্টিতেও আঙ্গর (আমাদের) কোনা অসুবিধা অয়
না (হয় না)।
ত্রিপলের নিচে রঙ-বেরঙের
কাপর দিয়ে ছামিয়ানা টানানো।
চেয়ার টেবিলে বইয়া মজার খাওন
খাইয়া আঙ্গর অনেক শান্তি লাগে।’
মেহমানখানায়
উপস্থিত থেকে প্রতিদিন এ
মহৎ কর্ম পরিচালনা করেন
নরসিংদী মডেল কলেজের গণিত
বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক মহসিন শিকদার, অধ্যাপক এস এইচ মিরন,
অধ্যাপক সজীব মিয়া, প্রভাষক
ইসলাম, নুর উদ্দিন বাদশা,
জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ ও প্রিন্ট এবং
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
টিআর/এম. জামান