তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রোপা আমনের প্রস্তুতিতে চাষ হচ্ছিল জমি। এ সময় হাঁটুকাদা পানিতে মাছ ধরার আনন্দে মেতে উঠেন একদল গৃহবধূ ও কিশোর-কিশোরী। আবহমান গ্রামবাংলার চিরায়ত দৃশ্যটি গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের বুজরুক রসুলপুর গ্রামের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই গ্রামের কৃষক জহির উদ্দিনের জমি চাষ করা হচ্ছে। তখন মাছ ধরায় ব্যস্ত একদল কিশোর-কিশোরী ও গৃহবধূ। তাদের কারও হাতে দেখা গেছে ডালি, থালা-বাটি, আবার কারও হাতে প্লাস্টিকের নানা উপকরণ। কৈ, শিং, পুঁটি, টেংরাসহ নানা প্রজাতির মাছ ধরে রাখছেন যার যার কাছে থাকা ঝুড়ি ও থলেতে।
জানা যায়, একসময় গ্রামবাংলায় বর্ষা শেষে নিচু জমি ও খাল-বিল সেচে মাছ ধরা হতো। চিরায়ত গ্রামবাংলার সেই দৃশ্য আজ হারাতে বসেছে। তবে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে কিছুটা হাঁটুপানিতে মাছ ধরার চিত্র দেখা মেলে। কাদাপানিতে নেমে মাছ ধরা গ্রামের অন্যতম বিনোদনও বটে।
স্থানীয় ছকিনা বেওয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধা বলেন, ‘খাল-বিলের পাঁচমিশালী মাছের স্বাদ অনেক। রান্না করা এসব মাছ দিয়ে ভাত খেতে অনেকটা গোশতের চেয়েও মুখরোচক। কিন্তু ছোট ছোট মাছগুলো কমে যাওয়ায় সেই রান্নার ঘ্রাণ এখন আর নাকে আসে না।’
আরেক প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রউফ মিয়া জানান, ‘আগে এমনভাবে বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ ধরা গেলেও, এখন আর সেইদিন নেই। হারিয়ে গেছে নানা জাতের মাছ। তাই হাঁটু কাদাপানিতে নেমে জমে উঠে না মাছ ধরার উৎসব।’
টিআর/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন