মাদারীপুর প্রতিনিধি
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ চলাচল করে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক দিকে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাকের চাপে বিঘ্ন ঘটছে নদী পারাপারে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘাটে পশুবাহী ট্রাক, কাঁচামাল, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি আগে পারাপার করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে ফেরি পারাপারে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে পশুবাহী ট্রাক বাংলাবাজার ঘাটে আসতে থাকে। ঢাকার বিভিন্ন হাটের উদ্দেশ্যে গরু ব্যবসায়ীরা পশুবাহী ট্রাক নিয়ে ঘাটে জড়ো হচ্ছেন। ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট ছোট যানবাহনের ভিড় রয়েছে। এ ছাড়া ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ চলাচলও শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে ঘাটে।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে বাংলাবাজার ঘাটে এসে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে যাত্রীদের মধ্যে উদাসীনতা দেখা গেছে। লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রীদের পার হতে দেখা গেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অনেক যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যদিও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অনুরোধ জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, কোরবানির পশুবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেশি পড়লে ৪টি ঘাটের ১টিতে পশুবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে। পর্যায়ক্রমে ঘাটে আসা পশুবাহী ট্রাক ও গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।
জেডআই/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন