
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না— সে মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ) ও (ঘ) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান মনজু মিয়ার কার্যক্রম জনস্বার্থবিরোধী এবং ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ববোধের পরিপন্থী হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
একই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কেন তাকে চূড়ান্তভাবে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান মনজু মিয়া চালগুলো বিতরণ না করে কছিম বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির গোডাউনে গুদামজাত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বরাদ্দ পাওয়া চাল গোপনে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের একশ বস্তা চাল উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। গোডাউনটি তাৎক্ষণিক সিলগালা করা হয় এবং পরদিন (৯ সেপ্টেম্বর) উদ্ধারকৃত চাল বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় এবং সম্প্রতি বিষয়টি পর্যালোচনা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং চূড়ান্ত অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।