
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
এক মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার ফাঁসির রায় নিয়ে নতুন করে উঠেছে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন। মামলার এক সাক্ষী প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার দাবি, সরকারি চাকরির প্রলোভনে এমনটি করেছিলেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এসএম রুহুল আমিন মঞ্জুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই সাক্ষ্য প্রকাশ্যে আনেন রেজাউন্নবী হাসু নামে ওই ব্যক্তি।
`রুহুল আমিন মঞ্জু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ`-এর ব্যানারে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন মঞ্জুর কন্যা কানাডা প্রবাসী জিনাইত আলম মনিহার, পরিবারের সদস্য ও সহস্রাধিক এলাকাবাসী।
বক্তব্যে জিনাইত আলম মনিহার বলেন, `আপনারা শুনেছেন, আমার বাবার মামলার সাক্ষী নিজেই স্বীকার করেছেন—তিনি মিথ্যা বলেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির লোভ দেখানো হয়েছিল।`
তিনি আরও জানান, `বাবার শেষ ইচ্ছা—দেশের মাটিতে ফেরা। আমরা রায়ের প্রত্যাহার চাই। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।`
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মঞ্জুর বন্ধু ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ বলেন, `মঞ্জুর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায়। এই মামলা প্রত্যাহার চাই।`
রুহুল আমিন মঞ্জু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদদের আহ্বায়ক রাখিবুল হাসান সেজা`র সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুহুল আমিন মঞ্জুর ভাই ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল হুদা, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আমিন প্রমূখ। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ, স্বজন, বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচির শেষদিকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।