
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
উগ্র ইসরাইল দুরে আছে আমরা হয়তো সেখানে গিয়ে জিহাদ করতে পারবো না কিন্তু নব্য ইসরাইল ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তাই ভারত যদি মুসলিমদের নিপীড়ন বন্ধ না করে তাহলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাঙলার ২০ কোটি মুসলিম জিহাদে যেতে বাধ্য হবে বলে ভারতকে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে হুশিয়ার করেছেন আলেম ওলেমারা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমা নামাজের পর সৈয়দপুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতে আয়োজনে স্থানীয় জিআরপি মোড়ে বিশাল ওই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ওলেমায়ে কেরাম আরও বলেন, নব্য ইসরাইল ভারতে মাত্রাতিরিক্তহারে মুসলিম নির্যাতন বেড়েছে। কখনো মুসলিম মেয়েদের বোরকা নিয়ে টানা হেচড়া, কখনো আলেমদের দাড়ী নিয়ে টানাহেচরা, মুসলিমদের ধরে ধরে নির্যাতন এসবের মধ্যে ওয়াকফ বিলের মাধ্যমে ভারতে হাজার হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার ভাঙ্গার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে উগ্র বিজেপি সরকার। তাই ইসরাইল ও নব্য ইসরাইল ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে। ইসরাইল দুরে থাকায় হয়তো বাঙলার মুসলিমরা সেখানে যেতে পারতেছে না কিন্তু ভারত যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ভারতে যেতে ঘন্টাও লাগবে না বলে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়। সেই সাথে ইসরাইল ও ভারতের পণ্য বয়কটেরও আহবান জানানো হয়।
এর আগে জুমা নামাজের পর পরই বিভিন্ন মসজিদ থেকে দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ দলবেধে বেঁধে ওই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, স্ব্চেছাসেবী সংগঠনের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শহরের রাস্তাঘাট। তুমি কে আমি কে ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ কর বন্ধ কর, চাওয়ালা মোদী থাকবে না তোর গদী, নারায়ে রিসালাত ইয়া রাসুলাল্লাহ ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সৈয়দপুর।
বিশাল ওই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মারগুব আশরাফী, মাওলানা গোলাম কাদের হীরা, মুফতি জামাল, খলিফা আসিফ আশরাফী, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শাহীন আক্তার, এরশাদ হোসেন পাপ্পু, শওকত হায়াৎ শাহ, সাংবাদিক শাহবাজ উদ্দিন সবুজ, ডা. জহরুল হকসহ আহলে সুন্নাতের মাওলানা শাহীদ রিজভী, মাওলানা রিদওয়ান আল কাদেরী, সৈয়্যদ মেরাজ রাসুল, সৈয়্যদ পাপ্পু বাখশী, খালিদ আজম, নাদিম আশরাফীসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব, পীর মাশায়েখরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিশাল ওই প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং জিআরপি মোড়ে এসে সালাতো সালাম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।