
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। আমরা মনে করি ভারত রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় দেশ হিসেবে ফাংশন করবে এবং দেশ হিসেবে আরেক দেশের সাথে চুক্তি করবে এবং বজায় রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার দুপুরে তিনি পঞ্চগড় জেলা শহরের অদূরে জেলা প্রশাসন ইকো পার্কে মাশরুম ও মুক্তা চাষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, কোন কিছু কখনো থেমে থাকে না। বিশ্বায়নের এই সময়ে সবকিছুরই বিকল্প রয়েছে। শামসুজ্জামান দুদু যে মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, দুদু ভাই যে মন্তব্য করেছেন তা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য দল হিসেবে বিএনপির নয়। তারা আমাদের রাজনীতির সিনিয়র তাদের দেখে আমরা শিখবো। কিন্তু তারা যদি তাদের অনুজদের সামনে রেখে প্রতিহিংসামূলক কথা বলার সংস্কৃতি আবার তৈরি করেন যেমনটি শেখ হাসিনা ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়াকে ছোট করে কথা বলতেন যা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছিল আমরা একই সংস্কৃতি তাদের মাধ্যমে আর দেখতে চাই না।
লেখাপড়ার পরিবেশ একেবারে শেষ হয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে তা ঠিক নয়। তবে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যারা কথা বলছেন এই মানুষগুলো আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন কিনা তার নিশ্চিয়তা ছিলো না। এই ছাত্রদের এতো ত্যাগ এতো রক্তের পরেই কিন্তু এই অভ্যুত্থান এবং এই মানুষগুলো এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারছে।নববর্ষ নিয়ে সারজিস বলেন, শো অফের জন্য যেন বাইরের যে অপসাংস্কৃতিগুলো রয়েছে তা যেন আমরা এই একটা সংস্কৃতির অংশ না বানিয়ে না দেই। একজনের সংস্কৃতির অন্যজনের উপর চাপিয়ে দেয়ার কাজও যেন আমরা না করি। সবার সংস্কৃতির উপর আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
মাশরুম ও মুক্তা চাষ প্রশিক্ষণ বিষয়ে তিনি বলেন, গতানুগতিক কৃষি করতে করতে এখন কৃষকরা ক্লান্ত। এখানে না আছে অর্থ না আছে নিশ্চয়তা। তাই কৃষির পাশাপাশি আমাদের এমন বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন ও প্রশিক্ষক ড. নজরুল ইসলামসহ প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।