
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
লালমনিহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘর-বাড়ি, ক্ষেতের ফসল, দোকান-পাটেরব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি। অপরদিকে ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে পাটগ্রাম পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে দোকানপাট, গাছ-পালা, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়ে।
ফায়ার ব্রিগেড পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ঝরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নিশ্চিত করা যায়নি বলে ফায়ার ব্রিগেডের স্টেসন অফিসার ফফিদার রহমান জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘর-বাড়ি ও দোকানপাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের কবলে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে পড়ায় পাটগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঝড়ের কারণে পাটগ্রাম উপজেলার শাক সবজির ক্ষেত ও ভুট্টা খেতের গাছ উপরে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকার সাদ্দাম, রাসেল, রবিউল বলেন, ঝড়ের কবলে আমাদের প্রায় ১২ থেকে ১৩ টি দোকানের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
পাটগ্রাম পৌর এলাকার কলেজ মোড়ের আকাব্বর আলী বলেন, আজ সকালে হঠাৎ ঝরে আমার ঘর উল্টে যায়। কোন মতন পরিবারের লোকজন নিয়ে জানে বেঁচে গেছি। আমি একজন দিনমজুর ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় হতাশায় পড়ছি।
পাটগ্রাম উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো প্রদর্শন করেছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নেওয়া হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হবে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ভুট্টা খেতের ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমানে ক্ষতি হয়েছে তা জানতে উপজেলা কৃষি অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।