
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ ভুমিকা রাখায় দরিদ্র রিকশাচালক দুখু মিয়া (৫২) কে একটি নতুন অটোরিকশা উপহার দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্বজনরা।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানে এক লাখ দশ হাজার টাকা ব্যয়ে কেনা ব্যাটারিচালিত নতুন অটোরিকশার চাবিটি দুখু মিয়ার হাতে তুলে দেয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাদককে না বলুন ‘মানাব’ এর উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় নতুন অটোরিকশাটি কিনে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দুখু মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা সহ একটি সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাদককে না বলুন ‘মানাব’ এর সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল জানান, দরিদ্র রিকশা চালক দুখু মিয়া একটি ভাঙা রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। তার সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান রয়েছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রতিবাদী মানুষ। ঢাকায় লংমার্চেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তখন কাঁদানে গ্যাসে দুখু মিয়ার এক চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুখু মিয়া ঈশ্বরদীতে আন্দোলন চলাকালে গভীর রাতে পালিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতেন, এলাকার খবরাখবর এনে দিতেন। তার অবদান অনস্বীকার্য।`
ঈশ্বরদীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাহিম মেহরাব বলেন, `আন্দোলনের বিভিন্ন কার্যক্রমে দুখু মিয়াকে আমরা অনেক কাছে পেয়েছিলাম। তিনি দিনে রাতে আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি অনেকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন। এ কারণে তার অবদানের বিষয়টি আমরা মানাব কে জানাই। তারাই উদ্যোগ নিয়ে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এই আয়োজন করেছে। দুখু মিয়ার ভালবাসার স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে একটি নতুন অটোরিকশা উপহার দিতে পেরে আমরা সবাই খুব খুশি।`
নতুন অটোরিকশা পেয়ে আবেগ আপ্লুত দুখু মিয়া বলেন, `সবাই আমাকে ভালবেসে আজকে যে উপহার দিয়েছেন তা মাথায় করে রাখবো। আমার যে কি ভাল লাগছে তা বলার মতো না। আমি খুব খুশি। আন্দোলনের সময় মন থেকে চেষ্টা করেছিলাম ছাত্রদের পাশে থাকার। কিছু পাওয়ার আশা করে সহযোগিতা করি নাই। আজ ওরা আমার পাশে যেভাবে দাঁড়ালো তা বলে বোঝাতে পারবো না। নতুন অটোরিকশাটি পেয়ে আমার খুব উপকার হলো।`