
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি এটিএম মুসা শামীমের বিরুদ্ধে দলিল লেখক সমিতির ১১ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ দলিল লেখকেরা। যুবলীগ নেতা এটিএম মুসা শামীম উপজেলার তুষভান্ডার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক এবং দলিল লেখক সমিতির সভাপতি।
দলিল লেখক সমিতির সাধারন সদস্যরা তাদের সঞ্চিত টাকা উদ্ধারে সমিতির সভাপতি শামীমের বিরুদ্ধে সাব রেজিস্টার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলা এটিএম মুসা শামীম তুষভান্ডার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক হয়ে দলিল প্রতি চাঁদা দিতে বাধ্য করা হত জমি ক্রেতা ও দলিল লেখকদের। তার দাফটে অসহায় সাধারন ক্রেতা ও দলিল লেখকরা কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি।দলিল প্রতি ২শত হারে চাঁদা তুলেই থেমে থাকেনি মুসা শামীম। উপরন্তু দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের সঞ্চিত টাকার ১১ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন তিনি। দলিল লেখক সমিতির ৮৫ জন সদস্য তাদের আয়ের একটা অংশ সমিতির ফান্ডে সঞ্চয় করেন। সেই টাকা ঈদসহ বিশেষ সময় সকল সদস্য তা নিজেরা বন্টন করে নেন। ২০২৪ সালে ৮ মাসে সঞ্চায় জমা হয় প্রায় ১৮ লাখ টাকা। দুই ঈদে দলিল লেখকদের ৭ লাখ টাকা প্রদান করা হলেও বাকি ১১ লাখ টাকা সমিতির সভাপতি যুবলীগ নেতা মুসা শামীম, সম্পাদক রেজাউল করিম ফরহাদ, ক্যাশিয়ার রফিকুল ইসলাম সহ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ সদস্যদের। এছাড়াও সমিতির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের টাকা গ্রহণ করলেও প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা বিল পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করে। এসব টাকার হিসাব জানতে চাইলে বিভিন্ন সময় ঝগড়া সহ মারামারি হতো।
দলিল লেখক জিনাত হোসেন নোবেল বলেন, শামীমকে প্রত্যেক দলিলে দুইশত টাকা দিতে হতো। না দিলে দলিল আটকানো সহ সমিতির ঘরে আটকে রাখা হতো।
দলিল লেখক তৈয়ুবুর রহমান রাকু বলেন, দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে শামীম সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন। ভুয়া দাতা তৈরী করেও দলিল সম্পাদন করতেন তিনি। আওয়ামীলীগের সময় শামীম পারত না এমন কোন কাজ ছিল না সাব রেজিস্ট্রি অফিসে।
দলিল লেখক আমিরুজ্জামান মতি বলেন, শামীম গত ১৫ বছরে চাঁদাবাজি করে অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ের ১১ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেছেন তিনি।
এবিষয়ে তুষভান্ডার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এটিএম মুসা শামীম বলেন, সমিতির নির্বাচনে হেরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে প্রতিপক্ষ। সমিতির উন্নয়ন মুলক কাজেই খরচ হয়েছে সমিতির টাকা। আওয়ামী ক্ষমতায় কোন কিছুই করি নি। যা করা হয়েছে তা সবে সমিতির সদস্যদের সিদ্ধান্তে ভিত্তিতে এবং সমিতির কল্যানে করা হয়েছে।
তুষভান্ডার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্টার (অতিঃ দাঃ) আরিফ ইসতিয়াক বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে বিধিমত ব্যবস্থা নেয়া হবে।