
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বুড়ির বাজার এলাকায় ফুটপাতের দোকান ভাংচুর ও ট্রাকে মাটি ফেলে দোকান ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাদাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইবনে হাবীব কাসুরী চঞ্চল এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোছাঃ হাজেরা বেগম (৫৩) আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে অসহায় ৮/১০ জন ফুটপাতের দোকানদার অনিশ্চিত আতঙ্কে রয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, হাজেরা বেগমের স্বামী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন স্থানীয় ঈদগাহ মাঠ কমিটির অনুমতি নিয়ে ১০ বছরের জন্য একটি দোকান ঘর ভাড়া নেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি বিএনপি নেতা ইবনে হাবীব কাসুরী চঞ্চল দোকানটি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
গত ১৫ মার্চ দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা দোকানের সামনে টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় হাজেরা বেগম বাধা দিলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইবনে হাবীব কাসুরী চঞ্চল তাকে মারধরের জন্য তেড়ে আসেন, তবে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাজেরা বেগমের অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বিএনপি নেতা শুধু ভয়ভীতি প্রদর্শনই করেননি, বরং আরও লোকজন নিয়ে দোকান দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের হুমকি দিয়েছেন। এদিকে শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওই ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন আরও ৭-৮টি দোকানের চালা ভাঙচুর করেন। যুগ ধরে অনেকেই ওই স্থানে ব্যাবসা বাণিজ্য করে আসছেন। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এভাবে দখল চেস্টায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ষাটোর্ধ বৃদ্ধ জগদীষ চন্দ্র বলেন, দীর্ঘ ১৮/২০ বছর ধরে এখানে মুচির কাজ করে আসছি। হঠাৎ গতকাল বিকেলে দোকানের চালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখন কি করবো, কি করে খাবো এই বয়সে বুঝতে পারছিনা।
অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন আমরা অনেকেই দোকান করে খাচ্ছি। হঠাৎ ক্ষমতা দেখিয়ে চালা ভেঙ্গে আমাদের জিনিসপত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কি করে সংসার চালাবো বা জীবন যাপন করবো বুঝতেছিনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন, যাতে অবৈধ দখল ও সহিংসতা বন্ধ হয় এবং ব্যবসায়ীরা নিরাপদে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারেন।