• ঢাকা শুক্রবার
    ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সৈয়দপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

সৈয়দপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি ও হামলার শিকার ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।  

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত সুনামের সাথে সৈয়দপুরে বাইসাইকেলের ব্যবসা করে আসছি।  আমার পরিবার নীলফামারী জেলার সেরা করদাতা হিসাবে বারবার স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।  গত জানুয়ারি মাসে সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে আমি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ভবন) ভাড়ায় নিয়ে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। হঠাৎ  গত ৮ মার্চ রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কি তাঁর ভাই অমিত কুমার আগওেয়ালা ভিক্কি ও ছেলে রাঘব কুমার আগরওয়ালা ও সাঙ্গপাঙ্গসহ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।  তাঁরা আমার কর্মচারীদের মারধর করে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন।  এসময় আমার গুদামঘরের মালামাল (সাইকেলে যন্ত্রাংশ) তছনছ করে ও বাইরে ফেলে দেন।  

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চুক্তিনামা ও কাগজপত্র সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।  সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দপুর প্লাজার নির্বাহী গোলজার আহমেদ প্রমুখ। শহরের ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

আলতাফ হোসেন অভিযোগ করেন, সুমিত কুমার আগরওয়ালা অল্প কিছু হিন্দু লোকজন নিয়ে পরদিন (৯ মার্চ) সৈয়দপুর শহরে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মিছিল বের করেন।  মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  ওই মিছিল থেকে আমাকে ভূমিদস্যু ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ফলে ওইদিন নীলফামারী আদালতে একটি মামলা করেছি।  সে সাথে আমার সম্মানহানি ঘটানের জন্য ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয় গত ১১ মার্চ।  

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর বিএনপি রাজনৈতিক জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কির সাথে।  তিনি বলেন, আলতাফ একজন ভূমিদস্যু।  উত্তরাধিকার সূত্রে ওই ভবনটির একজন মালিক আমিও।  ভবনটিতে যে বসবাস করতে তিনি সম্পর্কে আমার চাচা।  ইতিমধ্যে তিনি ভারতে পাড়ি দিয়েছেন।  ওই সম্পতি নিয়ে একটি বাটোয়ারা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।   কাজেই আলতাফ হোসেন হচ্ছেন অবৈধ দখলদার।  আর হামলা ও মালামাল তছনছের প্রশ্নই ওঠে না।  আমরাও বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাই।  

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ