
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
নাটোরে নারী নির্যাতনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম ফজলুল হককে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গেলে আসামি এসএম ফজলুল হক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর রুমে বসতে দেয়। এরপর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিকে বের করা হয়। এ সময় সাংবাদিকরা আসামির ছবি ও ভিডিও নিতে গেলে আসামি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে এখন টেলিভিশন, সময় টেলিভিশন ও এনটিভির ক্যামেরাপার্সন হাতে চোট পান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের হাজতে নিয়ে যায় পুলিশ।
এরপর নাটোরের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। সাংবাদিকরা দাবি করেন— অন্য আসামিদের মতো সাবেক এসপি ফজলুল হককে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখন টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ভিডিও নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামি আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টাও করেন। ক্যামেরা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের হাতেও আঘাত লাগে।
যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামির দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। তিনজন ক্যামেরাপার্সন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন আসামিকে যেভাবে নেওয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এসপিকেও হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।