• ঢাকা শুক্রবার
    ০৭ মার্চ, ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে খুলনা জেলা মালিক শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে খুলনা জেলা মালিক শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

খুলনা ব্যুরো

খুলনায় ইট বালু ব্যবসায়ী ও পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চলমান পরিবেশ বান্ধব জিগজ্যাগ ভাটা গুলো আকস্মিক বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ দফা দাবিতে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মালিক শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর আগে সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মালিক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস আহমেদ জমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক জমাদ্দার শামীম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সত্তার, সাবেক সভাপতি কালাম খান, মোঃ মহসিন খান সবুজ,জেলা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ নাসির ফকির, সদস্য সচিব মোঃ বাবু শেখ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য অসীম শেখ, মিয়া মল্লিক, সেলিম চৌধুরী, কামরুল মোল্লা, আসলাম শেখ, সালাম শেখ, ইয়ামিন হাওলাদার সহ খুলনা ইট বালু ব্যবসায়ী ও পরিবহন এসোসিয়েশন ও খুলনা ইট কয়লা পরিবহন ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সরকার নির্দেশিত পরিবেশ বান্ধব জিগজ্যাগ সহ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও ইট ভাটা বন্ধে শ্রমিকদের সাথে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে জানান বক্তারা। ইট ভাটা বন্ধ হলে খুলনা অঞ্চলে ভাটা সংশ্লিষ্ট বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এতে সমাজে অপরাধ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

অপরদিকে শ্রমিকরা জানায়, খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ১৭০ টি ইটভাটা রয়েছে যেখানে প্রায় দুই লক্ষ শ্রমিক সরাসরি জড়িত এবং এর সাথে তাদের পরিবারের কয়েক লক্ষ সদস্যরা নির্ভরশীল তাই ভাটা বন্ধ হলে তারা এই রমজান এবং আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে চরম অসুবিধায় পড়ার পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে বলেন বিক্ষোভরত শ্রমিকরা।

আর্কাইভ