
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
পদ্মা নদীর ফরিদপুরের কবিরপুর চর এলাকায় অবৈধ বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে, ওই ট্রলারে থাকা দুই আরোহী গুরুত্বর জখম হয়েছে। নদীতে ভেসে থাকতে দেখে অন্য নৌকার মৎস্য আরোহীরা তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে।
আহতরা হলেন মানিকগঞ্জের বারিক ফকিরের ছেলে ইউসুফ ফকির (৩০) ও মাসুদ রানার ছেলে মজিদ (২৫)।
আহতদের স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার দিবাপুর্ব ভোররাতের (আনুমানিক চারটা) দিকে ওই দুই মৎস্য আরোহী পদ্মা নদীর কবিরপুর এলাকায় মাছ ধরছিলেন।
এসময় বালুবাহী একটি বলগেট নৌকাটিতে সজোরে আঘাত করে, এতে নৌকাটি দুমড়ে মুচড়ে নদীতে তলিয়ে যায়। এসময় ওই দুই মৎস্যআরোহী নৌকা থেকে পানিতে ছিটকে পড়ে ভেসে থাকা সোলার কার্টুন ধরে ভাসতে থাকেন। পরে অন্য মৎস্য আরোহীরা তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ নাসিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, আঘাতকারী বলগেটটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মায় দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ড্রেজারের মাধ্যমে কবিরপুরসহ আশেপাশের এলাকায় অবৈধভাবে বালু তুলে তা বলগেটের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। ওই চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। রাত নামলেই পদ্মা নদীর দূর্গম এলাকাগুলোতে বাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন ও সেই বালু বহনকারী বলগেটের দৌরাত্ম। বেপরোয়া বলগেটের আঘাতে প্রায়শ ঘটছে দূর্ঘটনা।
আরেকটি সুত্র জানান, সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বালুবাহী বলগেটও এই রুট দিয়ে রাতে চলাচল করে। দুরের রুট হওয়ায় রাতে ওই বলগেটগুলো অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন ছাড়াই বেপরোয়াভাবে নদীতে চলাচল করছে। এসব অবৈধ বলগেট চলাচল বন্ধের দাবী স্থানীয় মৎস্য আরোহনকারী ও নৌযান মালিকসহ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অপরাধীদের দমনে নৌ পুলিশ সর্বদাই তৎপর রয়েছে। কিন্তু প্রায় ৬৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ জলসীমার অপরাধ নিয়ন্ত্রনে একটি স্পিডবোট ব্যবহার করতে হয়, এতে ফাঁক ফোকর দিয়ে কখনো কখনো এমন ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কিছুটা ব্যাত্যয় ঘটে। তিনি নদীতে টহল বৃদ্ধি করে সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রন করা হবে বলে দাবী করেন।