
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
অনির্দিষ্টকালের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশবিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েট শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন। এজন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’। তবে ছাত্রদল পাল্টা দায়ী করেছে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে।
এরপর ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে কুয়েটের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবনেও তালা দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, কুয়েটে সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধ, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগ, জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিত ও ছাত্রত্ব বাতিল, আহত শিক্ষার্থীদের সু চিকিৎসা এবং প্রশাসনের ক্ষমাপ্রার্থনা।
যদিও এরপর শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল, জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ ইত্যাদি। এরইমধ্যে স্থানীয় থানায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।