
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া, দুই দিনের রিমান্ড শেষে দায় স্বীকার করেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার কুড়িগ্রাম আদালতে হাজির করলে তিনি বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে আদালতের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন চার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলার, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল খেয়াঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভুক্তভোগী একযাত্রী বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ঐ মামলায় গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বাবলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশের একটি যৌথ দল। পরে আদালতে সোপর্দ করে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন চিলমারী নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তার বাবলু মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার, কঞ্চিবাড়ী ধুবনী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্রহ্মপুত্রে নৌ ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ব্রহ্মপুত্র নৌ-পথসহ ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ নৌ-পথে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাবলু মিয়া সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ডাকাত বাবলু। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধার খামার কামারজানি এলাকা থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।’ ওসি আরও বলেন, ‘ বাবলুর দলে ১৫ জন পেশাদার ডাকাত সদস্য রয়েছেন।
এরা সবাই গাইবান্ধার সদর, সুন্দরগঞ্জ এবং সাদুল্যাপুর এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছেন। শুধু চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথ নয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি-কামারজানি নৌ-পথেও এরা ডাকাতি করেছেন। বাবলুর সহযোগিদের গ্রেপ্তার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।