• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

সীমান্তে আটকে গেল ভালবাসা, মৃত বাংলাদেশি মাকে শেষবিদায় জানালো ভারতীয় মেয়ে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

সীমান্তে আটকে গেল ভালবাসা, মৃত বাংলাদেশি মাকে শেষবিদায় জানালো ভারতীয় মেয়ে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সীমান্তে আটকে গেল মা মেয়ের শেষ বিদায়ী ভালবাসা। বুকফাটা আর্তনাদে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে বাংলাদেশী মাকে শেষবিদায় জানালেন এক ভারতীয় এক মেয়ে। ঘটনাটি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টের। মৃত ওই মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। তিনি দেবহাটা উপজেলা সদরের শেখ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। মেয়ে ফরিদা খাতুন ভারতীয় নাগরিক আনছার মোল্লার স্ত্রী।

জানা যায়, সাতক্ষীরার দেবহাটার সদরে বার্ধক্যজনিত কারণে আছিয়া খাতুন বুধবার সকালে মারা যান। মেয়েকে জানানো হলে মেয়ে মায়ের শেষ বারের মত মুখ দেখার জন্য আগ্রহ জানান। এসময় ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপস্থিতিতে মৃত মায়ের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়। ওদিকে ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসে বিএসএফ সদস্যরা। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে মৃত মাকে জড়িয়ে মেয়ের কান্নার দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবার চোখে পানি এসে যায়। সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া।

এ দিকে বিজিবির ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ এ মহানুভবতার ঘটনায় উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক জানান, ভারতের কল্যানীর ১০২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আফজাল হোসেন খান ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবিন কুমারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি মৃত মায়ের মুখ মেয়েকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবির উপস্থিতিতে মৃত মায়ের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়। ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সে বসেই মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখেন ভারতীয় নাগরিক মেয়ে। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাত্র ১৫ মিনিট হলেও ভারত ও বাংলাদেশের নাড়ির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত করতে বিজিবি ও বিএসএফের এ মহানুভবতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মৃতের স্বামী শেখ মোহাম্মদ আলী ও ভারতীয় নাগরিক মেয়ে ফরিদা খাতুন।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ