প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় খামারে শুকানো শুকনো হলুদ সারাদেশের গূহীনিদের রান্না ঘরে রঙ ছড়াচ্ছে। আদিকাল থেকে আমাদের দেশে প্রতিটি পরিবারের ঘরে তরকারি রান্নার জন্য হলুদের ব্যবহার করা হয়। আগেকার দিনে কাঁচা হলুদ শিল বাটায় ফেলে গৃহিণীরা বেটে বা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতো।
চৌগাছা গ্রামের খামারী হলুদ ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান । বর্তমান সময়ে মাঠ থেকে কাঁচা হলুদ উঠানোর পরে বিভিন্ন খামারে নিয়ে সে গুলো সিদ্ধ করে রোদে শুকানো হয়। এই কাজে অতপরিতভাবে জড়িত অনেক শ্রমিক। যেমন সর্ব প্রথমে জমি থেকে হলুদের গাছ কেটে তারপর মাটি থেকে হলুদ উঠানো হয়। পরে সেটা খামারে নিয়ে এসে শেকড় ও পাতা পরিষ্কার করে সেদ্ধ করে রোদে শুকানো হয়।খামারে শুকানো হলুদ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে বাজারজাত করা হয়। যে কারনে স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই ফসল। পাটকেলঘাটার এই হলুদ মানসম্মত হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, খামারে হলুদ শুকানোর পর রঙ আরও উজ্জ্বল হয়। এবং এটি বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। তবে, অনেকে জানান যে, এই হলুদে কৃত্রিম রঙ মেশানো হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, স্থানীয় কৃষকরা যদি সঠিক পদ্ধতিতে হলুদ চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ করেন, তাহলে এটি দেশের অন্যতম প্রধান হলুদ উৎপাদনকেন্দ্র হতে পারে। সরকারও কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করছে। কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, যদি যথাযথ নীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পাটকেলঘাটার হলুদ আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারবে।